,

শ্যামনগর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণের দেখভালের জন্য ৭ সদস্য কমিটি গঠন

এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বিধিবহিভুতভাবে নির্মিত হচ্ছে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর উপহার শ্যামনগর উপজেলা মডেল মসজিদ। এ ঘটনায় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। গত ৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন,খুলনা ডিভিশন ২ এর অতিরিক্ত নির্বাহী পরকৌশলী আসাদুজ্জামান স্বরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর সাতক্ষীরায় কর্মরত উপ সহকারী প্রকৌশলী তানজির হোসাইন ও ঠিকাদার মিজানুর রহমান, প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ,আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ,মসজিদের ইমাম ও সুধীজন।
পরিদর্শনে বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে এমপি মহোদয় মসজিদের কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। কমিটির মধ্যে রয়েছেন,আহবায়ক উপজেলা পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদ-উজ-জামান সাইদ, সদস্য সচিব উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাকির হোসেন, সদস্য উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবাহক শেখ আফজালুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক স ম আব্দুস সাত্তার, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুর ইসলাম, উপজেলা পরিষদ মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব মুফতি আব্দুল খালেক ও নকিপুর হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম ফিরোজ হোসেন।
সারা দেশে প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ নির্মিত হচ্ছে ৫৬০টি মডেল মসজিদ। তারই ধারাবাহিকতায় নির্মিত হচ্ছে শ্যামনগর উপজেলা মডেল মসজিদ।
যাহার বরাদ্দ ১৪ কোটির অধিক। এক তালার ছাদ ঢালাইয়ের নিজ থেকে রড দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া মসজিদের পাশে রাখা রড ও নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত রড গুলো মরিচা ধরে ঝরে পড়ছে। ঢালাইতে পানি না দওয়া,বিষয়টি জেনে উপজেলা পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদুজ্জামান সাঈদ গত মঙ্গলবার স্বরেজমিনে কাজটি দেখে কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন নিম্নমানের রড দিয়ে কাজ করায় আপাতত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন রড এনে আলোচনার মাধ্যমে আবার কাজ শুরু হবে।এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক স ম আব্দুস সাত্তার বলেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ উপহার দিয়েছেন এটা ইতিহাসের বিরল ঘটনা। নিম্নমানের সামগ্রি পরিহার করে সঠিক নিয়মে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি সেক্রেটারি আছি ঠিকই তবে এ কাজটি সম্পূর্ণ গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে। দেখবাল করার দায়িত্ব তাদের। তবে আমি বিষয়টি দেখছি। এ বিষয়ে মসজিদের সভাপতি শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম এর মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও ফোনটি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ঠিকাদার মিজানুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন এরকম তো হওয়ার কথা নয় তবে বিষয়টি আমি দেখছি। বরাদ্দের বিষয় তিনি বলেন বর্তমান বরাদ্দ ১৩ কোটি ২৮ লাখ তবে মসজিদের সম্পূর্ণ ডিজাইন ও অবকাঠাম শেষ করতে ১৫ কোটি প্লাস ছাড়িয়ে যাবে। শ্যামনগরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের দাবি মসজিদটি বিধি মোতাবেক নির্মাণের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *